ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় - ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ১০০% ইসলামিক উপায়
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ১০০% উপায়। কিভাবে মুক্তি পাবেন এই হতাশা
থেকে। ইসলামিক ভাবে হতাশা থেকে মুক্তির উপায়। সে সম্পর্কে আজকে বলবো। ডিপ্রেশন
থেকে মুক্তির কিছু খাবার তালিকা আজকে বলবো ডিপ্রেশন হলে আপনার কি কি সমস্যা হবে
সে সম্পর্কে আজকে জেনে নিন। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন করার অনুরোধ করা হলো।
প্রিয় পাঠক আল্লাহর উপর ভরসা রাখলে সব কিছুই করা সম্ভব। আজকে কিভাবে আল্লাহর পথে
এসে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় এবং ইসলামিক উপায়ে নিজেকে ডিপ্রেশন থেকে বের করে
আনা যায় সেই সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত বলবো। সেই সাথে বলবো ডিপ্রেশন হলে কি কি
সমস্যা হয় আপনার কি কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে।
ভূমিকা
আপনি হয়তো ডিপ্রেশনে ভুগে আছেন। তবে চিন্তা করার কোনো কারণ নাই শুধু আপনি নয়
আপনার মত লক্ষ লক্ষ মানুষ হতাশা বা ডিপ্রেশনে ভোগে থাকেন। কিভাবে এই ডিপ্রেশন
থেকে আপনি মুক্তি পাবেন ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০০ প্লাস উপায় সম্পর্কে
আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি হওয়ার ১০০% উপায় আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো। ডিপ্রেশন থেকে
মুক্তির ওষুধ সম্পর্কে সেই সাথে বলবো ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির দুর্দান্ত টিপ
সম্পর্কে। ইসলামিক ভাবে কিভাবে আপনি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি হতে পারবেন। ইসলামিক
যেভাবে নিয়ম ফলো করলে আপনি ডিপ্রেশন থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পেতে পারবেন সে
নিয়মগুলো বলবো।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ঔষধ
হতাশা একটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা যা সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে
প্রভাবিত করে। হতাশার সাথে মোকাবেলা করার জন্য আপনি নিজেই যথেষ্ট। হতাশা থেকে
মুক্তির অনেক উপায় আছে। হতাশা থেকে মুক্তির কয়েকটি উপায় নিচে দেওয়া হল। তবে
আপনি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির কোন ওষুধ কোথাও খুঁজে পাবেন না।
কারণ ডিপ্রেশনের কোন ওষুধ হয় না। ডিপ্রেশন একটি মানসিক রোগ যা যা আপনার নিজেই
নিজেকে বের করে আসতে হবে। ডিপ্রেশন থেকে বের নিজেকে হয়ে আসতে হয়। কারণ ডিপ্রেশন
কেউ যদি ভোগে থাকে তাহলে তার সাথে কেউ থাকে না। কেউ তার মনটাকে বোঝেনা। তবে আপনি
প্রকৃতিক উপায়ে বা শারীরিকভাবে নিজেই উদ্ধার হয়ে আসতে পারে।
নিচের কিছু খাবার ও কিছু টিপস বলে দেওয়া হলো। যা আপনার ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি
দিতে পারে। যেগুলো খেলে আপনি হতাশা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। বিস্তারিত জেনে
নিন:
চর্বিযুক্ত মাছ: স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন জাতীয় মাছ ওমেগা-3 ফ্যাটি
অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা হতাশার নিম্ন হারের সাথে যুক্ত।
বেরি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, স্ট্রবেরি,
ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরি মেজাজকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
পাতাযুক্ত সবুজ শাক: কেল, পালং শাক এবং অন্যান্য শাক-সবজিতে প্রয়োজনীয়
ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে এবং
বিষণ্নতার লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বাদাম: বাদাম, আখরোট এবং কাজু হল স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস, যা নিম্ন মেজাজের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য
একটি দুর্দান্ত খাবার তৈরি করে।
মাশরুম: কিছু ধরণের মাশরুম, যেমন শিতাকে এবং মাইতাকে, মনে করা হয় যে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মানসিক সুস্থতাকে
সমর্থন করতে ভূমিকা পালন করতে পারে।
পুরো শস্য: পুরো গমের রুটি, বাদামী চাল এবং ওটসের মতো খাবারে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা বিষণ্নতার কম ঝুঁকির সাথে
যুক্ত।
ডিম:
ডিমে ভিটামিন ডি এবং বি 12, ফোলেট এবং প্রোটিনের মতো বিভিন্ন পুষ্টি
রয়েছে, যা সবই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বিষণ্ণতার
লক্ষণগুলি কমাতে অবদান রাখতে পারে।
গ্রীক দই: গ্রীক দইতে পাওয়া প্রোবায়োটিকগুলি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের
ব্যাকটেরিয়া প্রচার করে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা ফলস্বরূপ, মেজাজকে প্রভাবিত
করতে পারে।
ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকলেটের একটি ছোট টুকরোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
এবং যৌগ রয়েছে যা এন্ডোরফিন নিঃসরণকে ট্রিগার করে, আনন্দ ও সুখের অনুভূতি
জাগায়।
হলুদ: হলুদের প্রধান সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন, হতাশার লক্ষণগুলি
কমাতে এবং সামগ্রিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তোলার সম্ভাবনা
দেখিয়েছে।
গ্রিন টি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, গ্রিন টি-তে থেনাইন নামক একটি
অ্যামিনো অ্যাসিডও রয়েছে, যা চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে যুক্ত।
সাইট্রাস ফল: কমলালেবু, জাম্বুরা এবং লেবুর মতো ফলের মধ্যে
উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বীজ: তিনের বীজ, চিয়া বীজ এবং কুমড়ার বীজ ওমেগা -3 ফ্যাটি
অ্যাসিড, প্রোটিন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে,
যা সামগ্রিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
টমেটো: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লাইকোপেন সমৃদ্ধ,
টমেটো বিষণ্নতা বিকাশের ঝুঁকি হ্রাসের সাথে যুক্ত।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: শারীরিক ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকা এন্ডোরফিন
নিঃসরণ করে, যা "ফিল-গুড" হরমোন নামে পরিচিত, সুস্থতার অনুভূতি প্রচার করে
এবং হতাশাজনক লক্ষণগুলি হ্রাস করে।
অ্যালকোহল পরিত্যাগ করুন: আমাদের মাঝে অনেক যুবক ভাইয়েরা আছে যারা
বিশ্বাস করেন এটা যে। বিভিন্ন ধরনের নেশা দ্রবনীয় পদার্থগুলো
আমাদের টেনশন কমিয়ে রাখে বা ডিপ্রেশন কমায়। তবে এটা সম্পূর্ণরূপে ভুল কথা
মোটেও কোন ধরনের নেশা জাতীয় জিনিস আমাদের মস্তিষ্ক বা ডিপ্রেশন দূর
করে না।
তাই অবশ্যই যেকোনো ধরনের অ্যালকোহলযুক্ত মদ গাঁজা ইয়াবা এবং সিগারেট বেরি
এগুলো থেকে দূরে থাকুন। তাহলে অবশ্যই আপনি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি হয়ে আসতে
পারবেন। ইসলামের সাথে নিজের পরিচয় করে নিন। নিজেকে ইসলামিক ভাবে তৈরি
করুন। তাহলে আপনি খুব দ্রুত ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাবেন।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম
বর্তমান যুগে লক্ষ লক্ষ মানুষ না লক্ষ লক্ষ না কোটি কোটি মানুষ এই হতাশায়
ভুগে থাকেন বা ডিপ্রেশনে ভুগে থাকেন। তবে সৌভাগ্যবশত এরো প্রতিকার আছে সেটা
আবার ইসলামিক প্রতিকার। কিভাবে ইসলামিক উপায়ে আপনি আপনার ডিপ্রেশন থেকে
খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি নেবেন সে বিষয়ে চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক।
আপনি যদি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার
আপনার কাছে কোন ব্যাপারই না। কারণ একজন মুসলমান জানে যে কিভাবে সে ডিপ্রেশন
থেকে মুক্তি পাবে। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়ার মাধ্যমে। এবং
আল্লাহর কাছে দোয়া করার মাধ্যমে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার
মাধ্যমে।
বিস্তারিত জানতে নিচের কিছু টিপস ফলো করুন। সে টিপস গুলো নিম্নে দেয়া
হলো:
আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও: আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। আল্লাহকে বলুন
হে আমার রব হে আমার মালিক আপনিতো স্রষ্টতা আপনি তো পরম করুনাময় অসীম দয়ালু
আমাকে ডিপ্রেশন থেকে আপনি বের করে দেন। আল্লাহর রহমতের উপর আস্থা রাখুন এবং
আপনার প্রার্থনায় আন্তরিকতা ও নম্রতার সাথে তাঁর দিকে ফিরে আসুন।
কুরআনের সাথে আপনার সংযোগ দৃঢ় করুন: কুরআনের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন
করুন। কুরআনকে ভালোবাসুন কুরআনের সাথে নিজের সম্পর্ক তৈরি করুন। নিয়মিত
কোরআন তেলাওয়াত করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ১পারা বা দশ পৃষ্ঠা করে কোরআন
তেলাওয়াত করুন। কুরআন আপনার ডিপ্রেশন দূর করতে সাহায্য করবে।
নিয়মিত সালাতে (প্রার্থনা): প্রতিদিন নিয়মিত নামাজে আপনি মহান
আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং তার কাছে। দোয়া করুন আপনার
অনুভূতিগুলো প্রকাশ করুন।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করুন: আপনি মুসলমান ছেলেদের
সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করুন। ভুল করেও কোন বাজে ছেলেদের সাথে মিশবেন না। আপনি
মুসলমান ছেলেদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন।
মননশীলতা এবং কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করুন: জীবনের ইতিবাচক দিকগুলিতে ফোকাস
করার জন্য আপনার মনকে প্রশিক্ষণ দিন এবং আপনাকে দেওয়া নিয়ামতের জন্য মহান
আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
যিকির (আল্লাহর স্মরণ) পাঠ করুন: আল্লাহর কাছে জিকির করুন জিকির করার
অনেক মাধ্যম আছে যেমন সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ।
এগুলা জিকির করার মাধ্যম এছাড়া আরো মাধ্যম আছে যেগুলো তারা আল্লাহর কাছে জিকির
করতে পারবেন আপনি আল্লাহর স্মরণ করতে পারবেন। এবং আল্লাহর প্রত্যেকটির নাম ধরে
আল্লাহকে ডাকে আল্লাহর প্রশংসা করতে পারেন।
ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং ক্ষমা করুন: আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান আল্লাহর
কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। কেউ আপনার সাথে ভুলত্রুটি করলে তাকেও ক্ষমা করতে
শিখুন তাতে আপনি নিজের শান্তি পাবেন এবং আপনার ডিপ্রেশন দূর হয়ে যাবে।
নবীদের গল্পগুলি প্রতিফলিত করুন: প্রত্যেকটি নবীর চরিত্র ফলাফল করুন।
বিশেষ করে আমাদের আখেরে নবী শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম
এর চরিত্রগুলো ফলো করুন। তাই চরিত্র ফুলের চাইতে পবিত্র ছিল। যা বলার বাইরে
তিনি এমন চরিত্রবান মানুষ যা পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কেউ নেই।
ইসলামিক বক্তৃতা এবং ইভেন্টগুলিতে যোগ দিন: আধ্যাত্মিক অনুস্মারক প্রদান
করে এবং অনুপ্রেরণা এবং উত্সাহের উত্স হিসাবে কাজ করে এমন সমাবেশগুলিতে অংশ
নিন।
ইসলামী আধ্যাত্মিকতার উপর বই পড়ুন: আপনার জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে
গভীরভাবে বোঝার জন্য ইসলামিক বিশ্বাস এবং এর শিক্ষাগুলি সম্পর্কে নিজেকে
শিক্ষিত করুন।
জ্ঞানী ইসলামী পণ্ডিতদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন: যোগ্য পণ্ডিতদের কাছে
পৌঁছান যারা ইসলামী নীতি অনুসারে নির্দেশনা এবং পরামর্শ দিতে পারেন।
একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন: শারীরিক ব্যায়ামে জড়িত থাকুন,
একটি সুষম খাদ্য খান এবং আপনার পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন, কারণ এই কারণগুলি
আপনার মানসিক সুস্থতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
নেতিবাচক প্রভাব এড়িয়ে চলুন: নিজেকে ইতিবাচক লোকেদের সাথে ঘিরে রাখুন
এবং নেতিবাচকতার সংস্পর্শে কমিয়ে দিন, তা মিডিয়া বা বিষাক্ত সম্পর্কের আকারে
হোক।
প্রকৃতির সৌন্দর্য অন্বেষণ করুন: বাইরে সময় কাটান, আপনার চারপাশের
প্রাকৃতিক আশ্চর্যের প্রশংসা করুন এবং প্রশান্তি খুঁজে পেতে আল্লাহর সৃষ্টি
নিয়ে চিন্তা করুন।
প্রার্থনা (দুআ): আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন, আপনার
হৃদয় ঢেলে দিন এবং তাঁর কাছ থেকে সান্ত্বনা ও নির্দেশনা কামনা করুন।
নিজেকে প্রার্থনা এবং ধ্যানে নিমজ্জিত করুন: অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবী
প্রার্থনা করুন, যেমন তাহাজ্জুদ, এবং অভ্যন্তরীণ শান্তির জন্য ইসলামে
সুপারিশকৃত ধ্যানের কৌশলগুলিতে জড়িত হন।
আল্লাহর পরিকল্পনার উপর আস্থা রাখুন: নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে আল্লাহই
চূড়ান্ত পরিকল্পনাকারী, এবং বিশ্বাস রাখুন যে সবকিছুই একটি উদ্দেশ্যের জন্য
ঘটে এমনকি তা আপনার কাছে অবিলম্বে স্পষ্ট না হলেও।
পেশাদার সাহায্য নিন: যদি আপনার বিষণ্নতা অব্যাহত থাকে বা খারাপ হয়,
তাহলে মুসলমানদের আধ্যাত্মিক চাহিদা বোঝেন এমন থেরাপিস্ট বা স্বাস্থ্যসেবা
প্রদানকারীদের কাছ থেকে পেশাদার সহায়তা চাইতে দ্বিধা করবেন না।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়
আমাদের মাঝে অনেকে আসে যারা হয়তো ডিপ্রেশনে অনেক ভোগে থাকেন। ডিপ্রেশন থেকে
কিভাবে মুক্তি পাবেন। হতাশা হওয়া আমাদের মাঝে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এই
বিষয়টা রয়েছে। আপনিও যদি হতাশায় ভুগে থাকেন বা ডিপ্রেশনে ভোগে থাকেন সেই
থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন সে সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো।
একটা বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন সেটিপ্রেশন কথা থেকে আসে। ডিপ্রেশন আসে
গার্লফ্রেন্ডের প্যারা থেকে পরিবারের প্যারা থেকে সামাজিক যোগাযোগের প্যারা
থেকে সমাজ থেকে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে ডিপ্রেশন জিনিসটা চলে আসে। তবে
বেশিরভাগ এখন বর্তমানে যেখান থেকে ডিপ্রেশন আসে সেটা হল গার্লফ্রেন্ড বা
বয়ফ্রেন্ড।
বর্তমানে এটা ট্রেন্ডিংয়ে আছে যে গার্লফ্রেন্ড ধোঁকা দিয়েছে সে ক্ষেত্রে
বয়ফ্রেন্ড ডিপ্রেশনে চলে যায়। বা বয়ফ্রেন্ড ধোকা দিয়েছে গার্লফ্রেন্ড
ডিপ্রেশনে চলে যাই। তো চলুন এই ডিপ্রেশন থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন সেই সম্পর্কে
আজকের জেনে নেয়া যাক। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ১০০% উপায় আজকে আমি আপনাদের সাথে
শেয়ার করব।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির কিছু টিপস নিচে প্রদান করা হলো। তে অবশ্যই নিচের
টিপস গুলো আপনি ফলো করবেন।
নিজেকে অনুভূতি গ্রহণ করুন: নিজেকে আগে বিচার করুন। যেমন নিজের অনুভূতি
গুলো বুঝতে শিখুন। নিজেই নিজেকে শক্ত করে তৈরি করুন। আপনি কি চাচ্ছেন আগে সেটা
ভাবুন। কি বলল সেটা আপনার দেখার দরকার নাই তাই আগে নিজেরটা নিজে পাব নিজের
অনুভূতিকে বুঝুন।
সমর্থন সন্ধান করুন: আপনার বিশ্বস্ত বন্ধুদের এবং আপনার নিজস্ব পরিবারের
সাথে পরামর্শ করুন বা কথা বলুন। যদি পারেন তাহলে আপনার অফিসের বা যেকোনো
কাজিনের সাথে ভালো করে কথাবার্তা বলুন। আপনার সমস্যা গুলো তাদের সাথে শেয়ার
করুন। তবে অবশ্যই বিশ্বস্ত লোকের কাছে শেয়ার করবেন।
একটি রুটিন স্থাপন করুন: প্রতিদিনের জন্য একটি রুটিন তৈরি করে নিন।
বিশেষ করে কালকে কি করবেন তার জন্য একটা রুটিন তৈরি করে নিন। প্রতিদিনের কাজ
প্রতিদিন করুন। এবং নিজের কাজ নিজেই করুন। কালকের জন্য আগে রুটিন তৈরি করে
রাখুন কাল কি করবেন কোথায় যাবেন কি কি পড়বেন কি কি খাবেন কোথায় কোথায় ঘুরতে
যাবেন সবকিছু।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: আপনার শরীরের এন্ডোরফিনের মাত্রা বাড়াতে
প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দৌড়ান ব্যায়াম করুন লাফালাফি
করুন। আপনার মস্তিষ্ক উন্নত করতে এবং আপনার টেনশন বা ডিপ্রেশন কমাতে
প্রতিদিন ব্যায়াম করা আপনার জন্য একান্ত দরকার।
সুষম খাদ্য খান: আপনার শরীরকে প্রতিদিনের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার দিন।
পুষ্টিকের খাদ্য খেলে আপনার শরীর যেমন ভালো থাকবে তেমনি আপনার মন ভালো থাকবে।
কোথায় আছে যে পেট শান্তিতে দুনিয়ার শান্তি। তাই আগে নিজেকে সুস্থ রাখুন তারপর
নিজের ব্রেন কে সুস্থ রাখুন। আর মস্তিষ্কের উন্নত ঘটাতে প্রতিদিন খাদ্য
খান। এটাতে আপনার ডিপ্রেশন দূর করে দেবে।
পর্যাপ্ত ঘুমান: অনেকে আছে যারা হচ্ছে প্রেমের ছ্যাকা খাওয়ার পর রাতে
ঘুমান না। এটা কিন্তু সবচাইতে বড় ভুল আমাদের জন্য। তাই প্রতিদিন রাতে আপনি
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান। এতে করে আপনার মস্তিষ্ক শান্ত থাকবে। এবং আপনার
মানসিক চাপ কমে যাবে। যার ফলে আপনি হতাশা এবং ডিপ্রেশন থেকে খুব দ্রুত মুক্তি
পাবেন।
স্ব-যত্ন অনুশীলন করুন: এমন কিছুতে নিজেকে আবদ্ধ করে নিন যেটা আপনার
নিজেকে আনন্দ দিবে। যেটা হতে পারে আপনার কোন অফিসের কাজ আপনার কোন পারিবারিক
কাজ আপনার লেখাপড়া বা ছবি আঁকা খেলাধুলা বিভিন্ন ধরনের কাজ আপনি করতে পারেন।
যেগুলো আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
নেতিবাচক চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করুন: নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে শিখুন। এমন
করে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন। যাতে করে আপনি উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি যা মানুষের দিকে
আকর্ষণ করতে পারে। নিজেকে এমন চ্যালেঞ্জ করুন যেন মানুষ আপনার দিকে তাকিয়ে
থাকে। আপনি প্রতিদিনের জন্য এরকম চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন যে আপনি কাল থেকে
৩০ দিন পর আপনি নিজেকে চেঞ্জ করে ফেলবেন। কাল থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন।
সবার সাথে ভালো ব্যবহার দেখাবেন। দেখা হলে সালাম দেবেন এরকম কিছু করতে হবে
তাহলে সবাই আপনার প্রশংসা করবে এবং আপনাকে পরিবর্তন দেখতে পাবে এ থেকে আপনি
ডিপ্রেশন থেকেও খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন। সবাইকে দেখিয়ে দিন কেউ আপনাকে
ফাঁদে ফেলালে তার ফাঁদ থেকে কেটে উঠতে পারেন। তাই নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে শিখুন।
অর্জনযোগ্য লক্ষ্য স্থির করুন: আপনার লক্ষ্য ঠিক করুন। সামনে কি করবেন
আগামী কাল কি করবেন আপনার ভবিষ্যতে কি করবেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন। একটা কথা
মনে রাখবেন অতীত নিয়ে ভাবলে কখনোই আপনার সামনে এগোতে পারবেন না। সব ডিপ্রেশন
রেখে সামনের দিকে লক্ষ্য রাখুন। আপনার খুব দ্রুত সফলতা আসবে যদি সামনের লক্ষ্য
ঠিক রাখেন।
কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করুন: প্রতিদিন আপনার জীবনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
আল্লাহর কাছে। মহান রব্বুল আলামীনের কাছে বলুন আল্লাহ আমাকে যেভাবে রাখছেন
সেটাতে আমি সুখী। কৃতজ্ঞতা বা ইতিবাচক দিকগুলো মনোনিবেশন করুন। এটি আপনার
ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করবে।
মননশীলতার কৌশলগুলিতে নিযুক্ত হন: বর্তমান যুগে এসে নিজের কৌশল গুলো ধরে
রাখুন। বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়ে পরামর্শ নিন। এখন অনেক জায়গায় এ
ডিপ্রেশন কমানোর সেন্টার বের হয়েছে যেখানে আপনি আপনার ডিপ্রেশনের কথা বলে
সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন বা যে কোন গভীর শ্বাসের ব্যায়াম করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সীমিত করুন: বর্তমান যুগে ডিপ্রেশনের প্রধান
কারণ হলো সোশ্যাল মিডিয়া। তাই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যতটুক সম্ভব দূরে রাখুন।
পারলে একটু ছোট বাটন ফোন রাখার চেষ্টা করুন। যেখানে ডিপ্রেশনের কথা বা খারাপ
কিছু দেখানো হয় সেখান থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। তাহলে আপনি ডিপ্রেশন থেকে
মুক্তি পাবেন।
স্বেচ্ছাসেবক: অনেকে বলে থাকেন যে নিজে খেয়েও সুখ আবার অন্যকে খাইও
সুখ। তাই নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। আমার কথার মানে হলো
মানুষের সাহায্য করতে শিখুন মানুষকে সাহায্য করুন। মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার
করুন। এবং মানুষের উপকার করার চেষ্টা করুন।
স্ব-বিচ্ছিন্নতা এড়িয়ে চলুন: প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ রাখুন। বিভিন্ন
ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত হন। নিজের একটা কর্মসংস্থানের যোগান করুন। এবং
নিজেই নিজের পায়ে দাঁড়ান। কোন মানুষের মুখাপেক্ষী না হয় আপনার জন্য বেটার।
তাহলে আপনি হতাশা থেকে বের হতে পারবেন।
বাইরে সময় কাটান: যেকোনো জায়গায় ঘুরতে যান। যে কোন প্রাকৃতিক
জায়গায় বেড়াতে যান সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন। রোদে
ভিজিয়ে এবং তাজা বাতাস উপভোগ করে প্রকৃতির নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যগুলিকে আলিঙ্গন
করুন৷
হাসির সাথে জড়িত থাকুন: ফানি মোমেন্টের সাথে নিজেকে জড়িত রাখুন।
বিভিন্ন ধরনের মজার মজার সিনেমা বিভিন্ন ধরনের ফানি ভিডিও তাদের সাথে জড়িত
থাকুন। এবং যারা হাসায় তাদের সাথে সম্পর্কে বজায় রাখুন।
ডিপ্রেশন হলে কি কি সমস্যা হয়
দেখুন এটা কোন প্রথম কথা না যে আমরা ডিপ্রেশনে ভুগি না। ভাই যার মন আছে সেও
ডিপ্রেশনে পড়বে। তাই অবশ্যই আপনিও ডিপ্রেশন হয়তো পড়ছেন। ডিপ্রেশন থেকে
মুক্তির উপায় সম্পর্কে হয়তো উপরে পড়ছে। সেই সাথে কি জানেন আপনি ডিপ্রেশন হলে
আপনার কি ক্ষতি হতে পারে। কি কি ক্ষতির সম্মুখীন আপনি পড়তে চলেছেন।
ডিপ্রেশন হলো একটি জটিল এবং প্রায়ই ভুল বোঝানো মানসিক স্বাস্থ্যের
অবস্থ। ক্রমাগত দুঃখ, হতাশা ক্রিয়াকলাপের প্রতি আগ্রহ হয়ে হারিয়ে
যাওয়ার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। যদিও এটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে
প্রভাবিত করে। এটির প্রভাব পুরো মানুষকে ধ্বংস করে দেয় তাই ডিপ্রেশন থেকে বের
হয়ে আসাটা আমাদের জন্য খুবই দরকারী।
হতাশা থেকে মুক্তি ও পেতে হলে আপনাকে তার সাথে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। আপনি
যদি এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান তাহলে আপনি হতাশা থেকে বের হতে হেরে যাবেন। অবশ্যই
আপনাকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে এবং দ্রুত হতাশা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
হতাশা থেকে যে সমস্যাগুলো আপনার হতে পারে তার বর্ণনা নিশি দেওয়া হলো:
সম্পর্কের সমস্যা: আপনি নিজেও অনেক ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন।
পারিবারিক সমস্যা সামাজিক সমস্যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যাই সম্মুখীন হতে পারেন।
বিশেষ করে পারিবারিক সমস্যা বা সম্পর্কের সমস্যা বেশি হয়। যেমন
দ্বন্দ্ব, ব্রেকআপ বিবাহ বিচ্ছেদ আরো অন্যান্য রকম সমস্যা।
কর্মজীবনের অতৃপ্তি: অতিরিক্ত ডিপ্রেশনে ভোগলে আপনি কর্মজীবনেও
অতৃপ্ততি থাকবেন। কোন কাজে আপনি সঠিকভাবে মন বসাতে পারবেন না। সব কাজে আপনার
অস্থিরতা কাজ করবে।
আর্থিক সংগ্রাম: আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। ডিপ্রেশনে গেলে আপনি
বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল যুক্ত জিনিস পান করতে শুরু করবেন। সেই থেকে আপনি
আর্থিক সমস্যা ভুগবেন। আপনাকে চাকরি থেকে বের করে দিবে বিভিন্ন ধরনের ঋণের
বোঝা আপনার মাথায় থাকবে।
দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা: দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা অবস্থা বা অক্ষমতার সাথে
মোকাবিলা করা মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে এবং হতাশার অনুভূতির দিকে
নিয়ে যেতে পারে।
একাকীত্ব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: একাকীত্ব তাই ভুগবেন। সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যম থাকে আপনাকে দূরে সরিয়ে দিবে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন বোধ করা বা
শক্তিশালী সামাজিক সংযোগের অভাব হতাশা বিকাশের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পদার্থের অপব্যবহার বা আসক্তি: মোকাবেলা করার উপায় হিসাবে মাদক বা
অ্যালকোহল ব্যবহার হতাশাজনক লক্ষণগুলিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং একটি দুষ্ট
চক্র তৈরি করতে পারে।
ট্রমাজনিত অভিজ্ঞতা: অপব্যবহার সহিংসতা বা আঘাতজনিত আঘাত থেকে বেঁচে
থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
জেনেটিক্স: হতাশার পারিবারিক ইতিহাস একজন ব্যক্তির ব্যাধি বিকাশের
সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে।
হরমোনের পরিবর্তন: বয়ঃসন্ধি, গর্ভাবস্থা বা মেনোপজের সময়
উল্লেখযোগ্য হরমোনের ওঠানামা ডিপ্রেশনের সূত্রপাত হতে পারে।
ঘুমের ব্যাঘাত: দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা বা ঘুমের ধরণে ব্যাঘাত মেজাজকে
নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং বিষণ্নতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
নেতিবাচক চিন্তাভাবনার ধরণ: আত্ম-সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনায় জড়িত
থাকা, অতীতের ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তা করা বা জীবনের নেতিবাচক দিকগুলিতে
মনোনিবেশ করা হতাশার লক্ষণগুলিতে অবদান রাখতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস: টেকসই উচ্চ স্তরের চাপ, কাজ, পরিবার বা
অন্যান্য কারণের কারণে ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ব্যায়ামের অভাব: একটি আসীন জীবনধারা এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপের
অভাব হতাশার বর্ধিত ঝুঁকির সাথে যুক্ত।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: খারাপ পুষ্টি এবং অতিরিক্ত পরিমাণে
প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং মেজাজকে
নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
অত্যধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার আসক্ত: আপনি যদি ডিপ্রেশনে থাকেন
তাহলে আপনি বেশি বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রোশিত হবেন। তাতে করে আপনার উপকার
তো দূরের কথা বেশিরভাগ অপকারী হবে।
অবশ্যই আপনি উপরের টিপস গুলো পড়ছেন। এবং বুঝতে পারছেন ডিপ্রেশনে থাকলে আপনার
কি ক্ষতি হবে। যে ক্ষতিগুলো হবে সেটা আপনার ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই
অবশ্যই উপরের ক্ষতি হলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য
বিস্তারিত জেনে নিন........
লেখকের শেষ কিছু কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি আমার লেখা আর্টিকেলটি আপনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ছেন।
বুঝতে পারছেন কিভাবে আপনি ডিপ্রেশন থেকে বের হবেন। ডিপ্রেশন পড়লে কি কি
করবেন ডিপ্রেশনের থেকে বের হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আজকে আলোচনা করছি।
আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সেটা আপনার বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করুন।
ওয়ার্ল্ড ডেক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url