প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত- কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

সুন্দর করে কথা বলার গোপন টিপস সম্পর্কে জেনে নিন  প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আর্টিকেল থেকে সেটা জেনে নিন। আজকে আমি আপনাদেরকে বলব কিভাবে কাঠ বাদাম খাবেন। এবং কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও আজকে বলবো সেই সাথে আরো জানাবো সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত

প্রিয় পাঠক আপনি যদি আপনার শরীরের যত্নের প্রতি খুব আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার খাবারের তালিকায় কাঠবাদাম এবং কাজুবাদাম যোগ করতে পারেন। চলুন আজকে জেনে নিন এই কাঠ বাদাম ও কাজুবাদাম গুলো আপনার শরীরে কি কি উপকার করবে।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আপনি আপনার শরীরের যত্ন নিয়ে যদি চিন্তিত হয়ে থাকেন । আপনি কি জানেন সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। কাঁচা বাদাম আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার করে আপনি চান অবাক হবেন। আপনি যদি অধিক ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে কাঠবাদাম এবং কাঁচা বাদাম আপনার জন্য একান্ত দরকার।
কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকে চলুন জেনে নিয়ে যাক। কাঠবাদামে এমন ভিটামিন আছে যা আপনার ত্বকের জন্য এবং স্বার্থের জন্য অত্যন্ত উপকার করে থাকে। আলোচনা আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ার অনুরোধ রইল।

সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা বাদাম আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। কাঠবাদাম শুধু আপনার শরীরে উপকার করবে না সেটা আপনার ত্বকের জন্য খুব ভালো একটি খাদ্য। আপনি যদি অধিক পরিমাণে কাঁচা বাদাম খান তাহলে আপনার ত্বক আরো উজ্জ্বল করবে। আপনার মুখে থাকা ব্রণ এবং কালো দাগ ও রোদে পোড়া ভাব গুলো দূর করে দেয় বাদাম।

শুধু বাদামি নয় বাদামের তেল আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বাদামের তেল মাখলে আপনার শরীর থেকে ব্যথা দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া বাজারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঘটি অক্সাইডের যা আপনার অক্সিজেন কমে যাওয়া হওয়া থেকে রক্ষা করে। ও আপনার মশ্চারাইজ গুলো দূর করে দেয়।

বহু যুগ ধরে কাঁচা বাদামের তেল ইউরোপ্যাথিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই বলা যায় বাদামের তেল খুবই উপকারী। এক্ষেত্রে একজন ডক্টর মহিলা ডক্টর বলেন যে কাঁচা বাদাম খেলে মশ্চারাইজ ত্বকের ব্ল্যাকহেডস এবং ব্রণ দূর করে। বিশেষ করে যাদের হয়ে থাকে তাদের জন্য এটা আরও বেশি কার্যকরী বলে মনে করে।

এবার চলুন জেনে নেয়া যাক সকালে কাঁচা বাদাম যোগ করলে আপনার কি কি উপকার আসবে। সকালে কাঁচা বাদাম যোগ করলে সেটা আপনার শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসবে। চলুন জেনে আরো উপকার গুলো। কাঁচা বাদাম চর্বির একটি চমৎকার উৎস। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট নামে পরিচিত।

এই চর্বিগুলি সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। যা হৃদরোগ এর মত মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কাঁচা বাদাম পাওয়া যায় এমন এক ধরনের চর্বি সেটা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এটা ডক্টরের দ্বারা প্রমাণিত। তাই আপনি নিঃসন্দেহে কাঁচা বাদাম খেতে পারেন।

কাঁচা বাদামের শুধু স্বাস্থ্যকর চর্বি পাওয়া যায় এমনটা কিন্তু নয় সেটাতে আরো পরিমাণ ভিটামিন ই ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। ইচ্ছা আপনার শরীরে ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা ক্ষতিকর কোষ গুলো থেকে রক্ষা করে।

ম্যাগনেসিয়াম হাড় গঠন করতে সাহায্য করে। পিসি তৈরি করতেও বেশ ভূমিকা পালন করে। আর যখন আশিক ক্যালসিয়ামের কথা সেটা তো আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ক্যালসিয়াম শক্তিশালী দাঁত তৈরি করতে এবং হাড়ের ভেতরকার ক্যালসিয়াম বজায় রাখতে সাহায্য করে।

কাঁচা বাদাম হার্টের জন্য বেশ উপকারী। তাই আপনি নিঃসন্দেহে প্রতিদিন কাঁসা বাদাম খেতে পারেন। কাঁচা বাদাম এলডিএল কোলেস্টের অফ মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বলা হয় যে কোলেস্টের মাত্রা কমানোর জুড়ি মেলা ভার  হলো কাঁচা বাদাম। তাই আপনি প্রতিদিন আপনার খাবারের তালিকায় কাঁচা বাদাম যোগ করুন

কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সবাই প্রতিদিন কত কিছুই না খেয়ে থাকি। বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি মাছ-মাংস ফলমূল এসব। হয়তোবা অনেকে যায়না কাঠবাদামের যে এত উপকারিতা। কাঠ বাদাম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এতটাই উপকারী যে আপনি না খেলে বুঝতে পারবেন না। ছোটবেলায় অনেকে তো শুনছেন কাঠবাদাম খেলে উপকার পাওয়া যায়।

আজকে চলুন বাস্তবে তা দেখে আসে কি কি উপকারে আসে কাঠ বাদাম। কাঠ বাদাম আপনার শরীর বিভিন্ন উপকার করে থাকে চলুন জেনে সে উপকার গুলো কি কি। কিছু উপকার নিলে দেওয়া হলো যেগুলো আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
  • পুষ্টিকর: কাঠবাদামে ভিটামিন মিনারেল এবং প্রোটিনের উচ্চ মাত্রা থাকে। যা আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সরবরাহ করে এবং সুস্থ রাখে। এটি কোলেস্টেরলের স্তর কমানোর মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • হৃদরোগ প্রতিরোধ: কাঠবাদামে ভিটামিন ই  এবং অমেগা-3 ফ্যাটি এসিড থাকায় এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এবং ভাল কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • দাঁতের যত্ন: কাঠবাদামে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকায় এটি দাঁতের যত্নের জন্য খুব  উপকারী বলে মনে করা হয়।
  • শরীরে প্রোটিন সরবরাহ: কাঠবাদাম প্রোটিনের একটি ভাল উৎস হিসেবে কাজ করে। যা মাছ  মাংস ও ডিম থেকে যা পাওয়া যায় সেগুলো কাঠ বাদাম থেকে পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের প্রোটিন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। যারা মাছ মাংস ও  ডিম খান না তাদের জন্য কাঠবাদাম কে বিকল্প পদ্ধতি বলা যেতে পারে।  
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে: কাঠবাদামে প্রোটিন এবং অনুপস্থিত ত্রিগ্লিসেরাইড থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • ত্বকের যত্ন: কাঠবাদামে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। আপনার তকে যদি অতিরিক্ত ব্রণ এবং ময়েশ্চারাইজ হয়ে থাকে তাহলে ও কাঠ বাদাম আপনার জন্য একদম পারফেক্ট। এবং তৈলাক্ত তেলের জন্য কাঠ বাদাম একটি ভালো উপায় যে আপনার ত্বকের যত্নে আসতে পারে। 
  • মানসিক স্বাস্থ্য: কাঠবাদাম আপনার মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। অনেক বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে জানতে পারছেন। কাঠবাদাম মানুষের মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয় এই কাঠবাদাম। 

প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কাঠবাদাম তুলনামূলকভাবে বেশি ক্যালোরি। গড়ে এক আউন্স কাঠবাদামে প্রায় 161 ক্যালোরি থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অংশ হিসাবে প্রতিদিন কাঠবাদাম সহ প্রায় 1.5 আউন্স বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেয়। আপনি যদি অধিক পরিমাণ ক্যালরি চান তাহলে আপনাকে একটু বেশি পরিমাণে কাঠ বাদাম খেতে হবে।

তবে বিশেষত করা মতামত দিয়ে থাকেন প্রতিদিন ৫  থেকে ৭ টা খাওয়া যেতে পারে। তাই আপনি প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ টা খেতে পারেন।

সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খাওয়ার যে উপকার আছে সেটা জানলে হয়তো আপনি অবাক হয়ে যাবেন। কার্য বাদাম খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা নিচে দেওয়া হল। সেগুলো আপনার খুব উপকারে আসবে। তাহলে চলুন জেনে যাক সে ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে। 
  • প্রোটিন: কাজু এবং বাদাম প্রোটিন, ভিটামিন, ও মিনারেলের একটি ভাল উৎস হিসেবে কাজ করে, যা শরীরকে তাড়াতাড়ি ঊর্জা প্রদান করতে সাহায্য করে।
  • প্রোটিন সরবরাহ: কাজু এবং বাদামে প্রোটিন থাকায় এটি মাংস, মাছ, এবং ডেয়ারি পণ্য ছাড়াও একটি ভাল প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে।
  • আপনার মাংসপেশী বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে: কাজু এবং বাদামে থাকা প্রোটিন ও ম্যাগনিশিয়ামের একটি সুস্থ মিশ্রণ আপনার মাংসপেশীর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
  • মস্তিষ্কের পোষণ: কাজু এবং বাদামে ম্যাগনেসিয়াম, বিটামিন ই, এবং ফোলেটিক এসিড থাকায় এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • হৃদয়ের স্বাস্থ্য: অমেগা-3 ফ্যাটি এসিডের মাধ্যমে কাজু এবং বাদাম হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদয়ের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ভিটামিন এ এবং এইচ সরবরাহ: কাজু এবং বাদামে ভিটামিন এ এবং এইচ থাকায় এগুলির সংবর্ধন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, যা চক্ষু, ত্বক, এবং শরীরের অন্যান্য অংশের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
  • গ্লকোজ স্তরে সাহায্য: কাজুতে মিনারেল রয়েছে যা গ্লুকোজ স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
  • অমেগা-6 ফ্যাটি এসিডের সরবরাহ: কাজু এবং বাদামে অমেগা-6 ফ্যাটি এসিড থাকায় এগুলি আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে।
  • প্রতিরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে: কাজু ও বাদামে থাকা এন্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদানের মাধ্যমে এগুলি প্রতিরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ভিটামিন সি সংবর্ধন: কাজু এবং বাদামে থাকা ভিটামিন সি শরীরের প্রতিরোগের মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে এবং মস্তিষ্কের কাজকর্মে সুস্থ রাখতে পারে।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে: কাজু এবং বাদামে থাকা অমেগা-3 ফ্যাটি এসিড এবং অমেগা-6 ফ্যাটি এসিডের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • স্বাস্থ্যকর ত্বক: কাজু এবং বাদামে ভিটামিন ই থাকায় এটি ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং ত্বককে ত্বককে তাড়াতাড়ি নতুন চারুকপণ উৎপাদন করতে সাহায্য করতে পারে।
  • ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে: কাজু এবং বাদামে থাকা এন্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান সহায়ক হতে পারে ক্যানসার প্রতিরোধে।
  • দাঁতের স্বাস্থ্য: কাজু এবং বাদামে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম তাদের দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • শোকর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে: কাজুতে থাকা জিংক শোকর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে এবং শিশুদের উন্নত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে: কাজু এবং বাদামে থাকা প্রোটিন ও ফাইবারের মাধ্যমে এগুলি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

লেখকের শেষ কিছু কথা

আমার প্রিয় পাঠক আশা করি আমার লেখা আর্টিকেলটি আপনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ছেন। বুঝতে পারছেন কিভাবে প্রতিদিন কাঠ বাদাম খাবেন এবং কতটুকু কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত। কাজুবাদামের উপকারিতা সম্পর্কেও আজকে আলোচনা করছে। আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সেটা আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

””””””ধন্যবাদ””””””

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ার্ল্ড ডেক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url