সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
মাত্র ৭ দিনে ব্রণ কমানোর দুর্দান্ত সম্পর্কে জেনে নিন সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন আপনার জন্য। সেই সাথে আরো জানাবো আপনাদেরকে কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়? আমাদের মাঝে অনেকে আছেন যারা একদম চিকন তাদের জন্য আজকে আর্টিকেলটি।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনেক চিকন হয়ে থাকেন এবং আপনাকে সবাইরে চিকনা চিকনা বলে খেপাই তাহলে আজকে আর্টিকেলটির আপনার জন্য আপনি আজকের আর্টিকেল জানতে পারবেন কিভাবে আপনি মোটা এবং বডি বিল্ডারের মতন হবেন।
ভূমিকা
আপনি যদি খুব সহজে মোটা হতে চান এবং যদি আপনি ঘরোয়া পদ্ধতির মোটা হতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে আপনি মোটা হবেন। আরো জানাবো কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি এর সম্পর্কে যদি আপনি জানছেন কিভাবে মোটা হবেন তাহলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়
ছোলা খেলে কি মোটা হয়ে যায় এই কথা আমাদের মাঝে অনেকে ই ভেবে থাকে। হ্যাঁ বন্ধুরা চলুন আজকে জেনে নিয়ে ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া চাই। এবং কাঁচা ছোলা খাওয়ার কতটা গুরুত্বপূর্ণ চলুন জেনে নেয়া যাক। কাঁচা শোলায় অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ জিনিস থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য ভালো।
আমরা যেটাকে ছোলা বলি তার আরেকটি নামও আছে ছোলা গারবানজো বিন নামেও পরিচিত। এগুলি অত্যন্ত পুষ্টিকর প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। অনেক লোক এগুলি বিভিন্ন খাবার যেমন হুমাস স্টু, সালাদ এবং তরকারিতে রান্না করে খেয়ে থাকে। আমাদের মাঝে অনেকে আছেন যারা মনে করে থাকে যে ছোলা খেলে ওজন বাড়ে কিনা।
আজকে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন প্রথমেই শুরু করা যাক কি কি পুষ্টিগণ আছে সে সম্পর্কে। আপনি যদি রাতে ছোলা ভিজিয়ে রাখেন এবং সকালে তা খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে। ছোলাতে অনেক পুষ্টি এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।
যখন আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধির কথা ভেবে থাকেন তাহলে সেটার আগে আপনাকে ক্যালরি নিয়ে ভাবতে হবে। বেশি ক্যালরি খেলে আপনি মোটা হয়ে যাবেন এটাই বিজ্ঞানের মতে বলা হয়ে থাকে। তাই আপনাকে দেখতে হবে যে কোন খাবারে বেশি ক্যালরি আছে। সেই ক্যালরিযুক্ত খাবার আপনাকে খেতে হবে।
কাঁচা ছোলাতে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালরি থাকে। যদি আপনি পড়ে সেটা রান্না করে খান তাহলে তার ক্যালরি কমবে না বরং আগের মতই তার ক্যালরি একই থাকবে। তাই বলা যায় যে কাঁচা ছোলা আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই আপনি যদি পারেন তাহলে নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
যাই হোক এটা মনে রাখা দরকার যে কাছে ছোলা হজম করতে আপনার সমস্যা হতে পারে। তাই সেটা পরিমাণ মতো খাবেন। কারণ কাঁচা ছোলা থাকে এটি ফাইটিক অ্যাসিড এবং এনজাইম ইনহিবিটরগুলির মতো অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টের তাই আপনার হজম করতে অসুবিধা করতে পারে।আর অবশ্যই সেটা খাওয়ার আগে কোন ডক্টরের সাথে পরামর্শ করে নেবেন।
তবে আপনি সেটা রান্না করে খেতে পারবেন তাতে করে তার কোন পুষ্টিগুণ বা ক্যালোরের পরিমাণ কমবে না। তবে কাঁচা ছোলা কিন্তু ওজন বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়।কাঁচা ছোলা খেলে সেটা দ্রুত হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তারপরে আপনার আবার ক্ষুধা লাগে এবং আপনি খেয়ে থাকেন। আর কাঁচা ছোলা ক্যালরির পরিমাণবেশি থাকে।
আপনি যদি নিয়মিত কাঁচা ছোলা খান। তাহলে সেটা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে তাই প্রতিদিন সকালে কাঁচা ছোলা খাবেন তাহলে সেটা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। যদি কাচের ছোলা খেতে আপনার অসুবিধা মনে হয় তাহলে সেটা রান্না করে খেয়ে থাকবেন তাহলে আপনার উপকার হবে।
কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি
বর্তমান সময়ে অনেকে ওজন বাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগে আছেন। ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে প্রধান উপায় হল পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। এবং নিয়মিত সময়মতো খাবার খাওয়া। তাহলে আপনি খুব সহজেই এবং খুব অল্প দিনে মোটা হয়ে যাবেন। এবং আপনি আপনার প্রতিদিনের খাবার পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিবেন।
নিচে কিছু দ্রুত মোটা হওয়ার উপায় দেওয়া হলো:
- অধিক খাদ্যগ্রহণ: আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনি আপনার খাবার বাড়িয়ে দেবেন। যা আপনার শরীরে অধিক ক্যালরি এবং পুষ্টির সরবরাহ করে থাকবে। প্রতিটি খাবারে সুস্থ তেল, সুশৃঙ্গ ও পোষণশীল খাদ্যের সম্ভার থাকতে হবে।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য: মাংস, মাছ, ডাল, ডিম, দুধ এবং দুধ প্রসারিত পণ্যে ভালোভাবে পোষণ প্রদান করে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
- শক্তিশালী খাদ্য: সবচেয়ে ভালো হয় যখন আপনি খাচ্ছেন ভারী খাবার, যেমন কিছু সবজি, পূর্ণ করে অংশবদ্ধ করা গাড়ি, চিকেন বা মাংস।
- ব্যায়াম করা: মোটা হওয়ার জন্য খাওয়ার পাশাপাশি, ব্যায়াম করা গুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। উজ্জ্বল পরিসরে ব্যায়াম করতে পারেন, এমনকি ওজন লিফট করতে পারেন যাতে আপনার শরীরে মাংসপেশী বাড়ায়।
- স্বাস্থ্যকর মসলা ও স্নান করা: দুর্বল ওজন বাড়াতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে মসলা খাওয়া উচিত। তারার একটি সুস্থ শরীর রক্ষা করতে স্নান করা উচিত।
মনে রাখবেন যে, শরীরের সুস্থ ওজন বাড়াতে সময় প্রয়োজন হতে পারে এবং এটি দ্রুত হতে চাইলে সকল প্রকার পরিবর্তন করতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
দ্রুত ওজন বাড়ানোর উপায়
আপনি কি এমন কেউ যিনি ওজন বাড়াতে সংগ্রাম করেছেন? আপনি কোন লাভ না বিভিন্ন পদ্ধতি চেষ্টা করেছেন? আচ্ছা, আপনি ভাগ্যবান! এই বিভাগে, আমরা বেশ কয়েকটি কার্যকর উপায় অন্বেষণ করব যা আপনাকে দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই কৌশলগুলির মধ্যে আপনার খাদ্য, ব্যায়ামের রুটিন এবং জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্য করা জড়িত, যা আপনাকে সেই বহু কাঙ্ক্ষিত পাউন্ডগুলি প্যাক করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর শরীরের ওজন অর্জন করতে দেয়। এর মধ্যে ডুব দেওয়া যাক!
ক্যালরির পরিমাণ বাড়ান
ওজন বাড়ানোর জন্য সর্বতম আপনি আপনার শরীরের জন্য ক্যালরি সরবরাহ করা শুরু করে দিন। এখন বলতে পারেন ভাই ক্যালোরি কিভাবে সরবরাহ করব। হ্যাঁ প্রশ্নটা সবারই হতে পারে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর হল যে খাবারের বেশি ক্যালরি আছে সে ক্যালরিযুক্ত খাবারগুলো খান তাহলে আপনার শরীরে ক্যালরি সরবরাহ শুরু হয়ে যাবে।
কিভাবে আপনার শরীরের ক্যালরির পরিমাণ বাড়াবেন সেই ক্যালোরি পরিমাণে খাবারের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
বাদাম এবং ড্রাই ফ্রটস: বাদাম, কিশমিশ, খোকনো আম, এবং অন্যান্য ড্রাই ফলগুলি বেশি ক্যালরি সরবরাহ করতে পারে।
ভাজা ওয়াফার বা কোকিজ: মিঠা ওয়াফার বা চকোলেট কোকিজ এমনকি তাদের মধ্যে ভাজা ওয়াফারে অনেক ক্যালরি থাকতে পারে।
বাটার এবং তেলযুক্ত পণ্য: বাটার তেল ঘি বা অন্যান্য তেলযুক্ত খাবারগুলি বেশি ক্যালরি সরবরাহ করতে পারে।
চিকেন সিজলিং ও ফ্রাই চিকেন: ফ্রাইড চিকেন বা চিকেন সিজলিং বেশি ক্যালরি থাকতে পারে। কারণ তাদের তেলে মৌলিকভাবে বেশি কিছু ক্যালরি থাকতে পারে।
ক্রীমযুক্ত পাস্তা ও সস: ক্রীমযুক্ত পাস্তা বা সস বেশি ক্যালরি সরবরাহ করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর চর্বি
স্বাস্থ্যকর চর্বি অত্যধিক পূর্ণ বোধ না করে আপনার ক্যালোরি গ্রহণ বাড়ানোর একটি চমৎকার উপায়। জলপাই তেল, নারকেল তেল, অ্যাভোকাডো এবং বাদামের মতো উৎস গুলি বেছে নিন। আপনি সালাদের উপর তেল ঝরিয়ে এবং আপনার খাবারে অতিরিক্ত বাদাম বা অ্যাভোকাডোর টুকরো যোগ করে আপনার খাবারে এই স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
প্রশিক্ষণ নিয়ে পেশী তৈরি করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পেশী ভর তৈরি করে ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ভারোত্তোলন বা বডিওয়েট ব্যায়ামের মতো ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত থাকা পেশী বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং আপনার ক্ষুধাকে উদ্দীপিত করে। যৌগিক ব্যায়ামের উপর ফোকাস করুন। যা একাধিক পেশী গ্রুপকে লক্ষ্য করে।
যেমন স্কোয়াট, ডেডলিফ্ট এবং বেঞ্চ প্রেস। উপরন্তু, আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড ওয়ার্কআউট প্ল্যান তৈরি করার জন্য একজন যোগ্য ফিটনেস পেশাদারের কাছ থেকে নির্দেশিকা চাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন।
সুষম ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট গ্রহণ
যদিও ক্যালরির পরিমাণ বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ, আপনি একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করছেন তা নিশ্চিত করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বিগুলির একটি ভাল ভারসাম্যের লক্ষ্য রাখুন। এটি আপনাকে শুধুমাত্র ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে না বরং আপনি সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলি পান তা নিশ্চিত করতে পারবেন। আপনার ডায়েটে বিভিন্ন ধরণের ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন উত্স অন্তর্ভুক্ত করুন।
আপনার অগ্রগতি ট্র্যাক করুন এবং সামঞ্জস্য করুন
আপনার দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণ এবং ওজন ট্র্যাক করা আপনাকে আপনার অগ্রগতি নিরীক্ষণ করতে এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে সহায়তা করতে পারে। একটি খাদ্য ডায়েরি রাখুন বা আপনার খাবার ট্র্যাক করতে এবং আপনার ক্যালোরি গ্রহণের হিসাব করতে স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করুন। নিয়মিতভাবে আপনার ওজন নিরীক্ষণ করা আপনার খাওয়ার পরিকল্পনা সামঞ্জস্য করতে বা কার্যকরভাবে ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার অংশের আকার বাড়াতে হবে কিনা তা নির্ধারণে সহায়তা করতে পারে।
হাইড্রেটেড থাকুন
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয় পান করুন। বেশি বেশি পানি পান করলে এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হবে। পর্যাপ্ত প্রাণের মধ্যে আপনি রাখতে পারেন যেগুলো আপনার শরীরে ক্যালরি বাড়াতে সাহায্য করবে সেগুলো হলো দুধ, ফলের রস, স্মুদি বা শেক। এগুলো আপনার শরীরে যেমন ক্যালরি সরবরহ করার তেমনে পুষ্টিও সরবরাহ করে।।
চিনিযুক্ত কার্বনেটেড পানীয় থেকে অত্যধিক পরিমাণে খালি ক্যালোরি গ্রহণ করা এড়িয়ে চলুন। কারণ তারা সামান্য পুষ্টির মূল্য দেয়। তাছাড়া এরা বেশির ভাগে আপনার শরীরকে নষ্ট করতে সাহায্য করবে তাই অবশ্যই এসব পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন।
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
ভিটামিন ওজন বাড়ানোর জন্য একক কারণ নয়, কারণ ভিটামিন সঠিক ভাবে ওজন বৃদ্ধি নয়। তবে, যদি কোনও ভিটামিনের অভাব থাকে এবং ওজন বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যা হয় তবে অবশ্যই তার সমাপন্ন ভিটামিনগুলি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নেওয়া উচিত।
- ভিটামিন D: এটি ক্যালসিয়াম অসম্পূর্ণতা এবং অস্থিবাধার উপশম করতে সাহায্য করতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিটামিন B-কম্প্লেক্স: ভিটামিন B, সামগ্রিক শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্ক কাজে লাগে এবং কিছু মানুষের ওজন বৃদ্ধির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে।
- ভিটামিন A: ভিটামিন A সাধারিত শারীরিক উন্নতি এবং ভিটামিন A অসম্পূর্ণতার জন্য সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নেওয়া হতে পারে।
- ভিটামিন C: এটি মোটাপায়ের কমতি এবং স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য ভাল হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে ওজন বাড়ানোর জন্য সাপ্লিমেন্ট হিসেবে প্রদান করা হতে পারে।
তবে, ওজন বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। অতিধ্যায় ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের অপ্রয়োজনীয় মাত্রা গুলি সমাপন্ন হতে পারে এবং এটি আপনার স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করতে পারে।
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
আপনি যদি আপনার ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনার কিছু রুটিন ফলো করতে হবে। যেগুলো আপনাকে ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই অবশ্যই আপনার উচিত সেই রুটিন গুলো ফলো করা। প্রতিদিন টাকি শুরু করার জন্য আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি এবং খাদ্য দিতে হবে।তাহলে আপনি সুস্থ থাকবেন।
এক্ষেত্রে আপনার প্রশ্ন আসতে পারে যে আমি কি কি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার ওজন বাড়াতে সকালে খালি পেটে কী খাওয়া উচিত? এখানে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হল যেগুলো আপনি খুব সকালে খালি পেটে খাবেন। তাহলে আপনি খুব দ্রুত মোটা হয়ে যাবেন। তাহলে চলুন কি সেই মোটা হওয়ার সকালের খাদ্যগুলো জেনে নিন।
জটিল কার্বোহাইড্রেট
ওজন বাড়ানোর অন্যতম প্রধান দিক হল পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ করা। জটিল কার্বোহাইড্রেট এটি অর্জনের একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে। পুরো শস্যের রুটি, ওটস এবং বাদামী চালের মতো খাবারগুলি জটিল কার্বোহাইড্রেটের দুর্দান্ত উত্স। এই খাবারগুলি ধীরে ধীরে শক্তি মুক্ত করে, আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখে এবং ক্যালোরির একটি স্বাস্থ্যকর উৎস প্রদান করে।
স্বাস্থ্যকর চর্বি
আপনার সকালের রুটিনে স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ করা ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং বীজ মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই চর্বিগুলি কেবল ক্যালোরি সরবরাহ করে না তবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
আপনার সকালের খাবারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা ওজন বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিম, গ্রীক দই, কুটির পনির, এবং চিকেন বা টার্কির স্তনের মতো চর্বিহীন মাংসের মতো খাবারগুলি চমৎকার পছন্দ। প্রোটিন পেশী বৃদ্ধি এবং মেরামত করতে সাহায্য করে, আপনার শরীরকে শক্তি এবং স্ট্যামিনা প্রদান করে।
পুষ্টিকর স্মুদি
আপনি যদি সকালে একটি তরল বিকল্প পছন্দ করেন তবে একটি পুষ্টিকর স্মুদি আপনার পছন্দ হতে পারে। ক্রিমি সামঞ্জস্যের জন্য দুধ বা গ্রীক দইয়ের সাথে কলা, বেরি এবং আমের মতো ফল ব্লেন্ড করুন। ক্যালোরি সামগ্রী বাড়ানোর জন্য, বাদামের মাখন, প্রোটিন পাউডার বা ওটস যোগ করুন।
শক্তি-ঘন খাবার
প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার সময় কিছু খাবার যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালোরি প্যাক করে। পুরো দুধ, পনির, বাদাম মাখন এবং গ্রানোলা শক্তি-ঘন খাবারের উদাহরণ যা আপনাকে ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই আইটেমগুলি সুস্বাদু এবং সহজেই আপনার প্রাতঃরাশের ভাণ্ডারে যোগ করা যেতে পারে।
নিচে আরো কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হল:
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ডিম, মাংস, দুধ, দই, প্যানির দুধ ইত্যাদি।
- সবজি ও ফল: তাজা ফল ও সবজি যেমন কমলা, আঙ্গুর, কোলারবি, ব্রোকোলি, গোবিন্দভোগ, স্পিনাচ ইত্যাদি।
- শক্তি যুক্ত খাবার: অ্যালমন্ড, ওয়ালনাট, ছোট কিসমের তিল ইত্যাদি।
- পূর্ণ গ্রেইন খাবার: অটোমেল, ব্রাউন রাইস, ওয়াল গ্রেইন ব্রেড, কোয়াকার ওয়াট, ইত্যাদি।
লেখকের শেষ কিছু কথা
প্রিয় পাঠক আশা করে আমার লেখা এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ছেন। এবং বুঝতে পারছেন কিভাবে আপনি খুব সহজে মোটা হবেন। মোটা হওয়ার এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার যা আপনার কোন সাইডএফেক্ট পরবে না। তাই ঘরোয়া পদ্ধতি যদি আপনি মোটা হতে চান তাহলে উপরের এই টিপস গুলো ফলো করুন।
ওয়ার্ল্ড ডেক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url