ই-কমার্স এর প্রকারভেদ গুলো কয়টি জেনে নিন
ই-কমার্স এর প্রকারভেদ গুলো কয়টি? আপনি কি জানেন না। চলুন আজকে জেনে নি ই-কমার্স
সম্বন্ধে অজানা কিছু তথ্য। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ই-কমার্স নিয়ে। এবং
আরো জানাবো মোবাইল ই-কমার্স কি? সোশ্যাল মিডিয়া ই-কমার্স কি? এবং ভয়েস
ভিত্তিক ই-কমার্স কি? চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
হ্যালো প্রিয় পাঠকগণ আজকে চলুন জেনে বর্তমান সময়ে যেটা আমরা সবচেয়ে বেশি
ব্যবহার করে থাকি সে সম্পর্কে। হ্যাঁ বন্ধুরা আমি ই-কমার্সের কথাই বলছি। যেটা
বর্তমান সময়ে না থাকলে হয়তো আমরা অনেকেই অচল হয়ে যেতাম তাই না।
ভূমিকা
আমাদের মাঝে অনেকে আছেন যারা ই-কমার্স সম্বন্ধে অজানা। ই-কমার্স কাকে বলে
ই-কমার্স এর কাজ কি? ই-কমার্স দিয়ে কি হবে? ই-কমার্স এর গুরুত্ব আছে কিনা?
আরো নানাও অজানা প্রশ্ন আপনার মনের মধ্যে হয়তো গেথে আছে। আজকের আর্টিকেলের
মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে এই অজানা প্রশ্নের উত্তরগুলো দিয়ে দেব। তাহলে আর দেরি নয়
চলুন জেনে নি ই-কমার্সের গুরুত্ব সম্পর্কে। এবং ই-কমার্সের সুবিধা অসুবিধা
সম্পর্কে।
ই-কমার্স এর প্রকারভেদ গুলো কয়টি
ই-কমার্স এর প্রকারভেদ জানার আগে চলন জেনে নি ই কমার্স এর পূর্ণরূপ কি। ই-কমার্স
শব্দটি ইলেকট্রনিক্স কমার্স থেকে এসেছে। ই-কমার্স বলতে তাকে বোঝে যেখানে অনলাইনের
মাধ্যমে সবকিছু করা হয়। আমরা যে ঘরে বসে থেকে অর্ডার করতে পারি যে কোন খাবার
যেকোনো পণ্য একেই ই-কমার্স বলে।
এটি ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য এবং খাবার কেনার জন্য বেশ জনপ্রিয়। আপনি
ঘরে বসে থেকে চাইলে যেকোনো কিছু অর্ডার করতে পারবেন ই-কমার্সের মাধ্যমে।
বাংলাদেশে শুধু বাংলাদেশের নয় বিভিন্ন দেশে এই ই-কমার্সের ব্যবস্থার রয়েছে।
আপনি ঘরে বসে চাইলে দেশের যেকোনো স্থান থেকে পূর্ণ অর্ডার করতে পারবেন।
এবার চলুন তাহলে জেনে নি ই-কমার্স কত প্রকার। প্রধানত চারটি ই-কমার্স রয়েছে চলুন সেই প্রধান চারটি সম্বন্ধে জেনে নেই।
- ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা (B2B)
- ব্যবসা-থেকে-ভোক্তা (B2C)
- ভোক্তা-থেকে-ভোক্তা (C2C)
- এবং গ্রাহক-থেকে-ব্যবসা (C2B
(B 2 C) অর্থাৎ ব্যবসা থেকে গ্রাহক কোন ব্যবসার কাছ থেকে কোন জিনিস কোন গ্রাহক বা ক্রেতা কিনে নেয়া কে (B 2 C) বলে।
(C 2 C) অর্থাৎ গ্রাহক থেকে গ্রাহক এটা দ্বারা বোঝা যে কোন
গ্রাহক সে নিজেই তার পুণ্য অন্য এক গ্রাহকের কাছে বিক্রি করছে। তাহলে এটাকে(C 2 C) বলে।
(C 2 B) অর্থাৎ গ্রাহক থেকে ব্যবসা যদি কোন গ্রাহক তার পণ্যগুলো কোন ব্যবসার কাছে বিক্রি করতে চায় তাহলে এটাকে (C 2 B) বলে। এটা দ্বারা আরেকটা বোঝায় যে অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে সেটাকে কোন ব্যবসায়ের কাছে বিক্রি করা।
বর্তমান সময়ে ই-কমার্স এর বৃদ্ধির খুব দ্রুত পাচ্ছে। যেহেতু এখনকার বর্তমান
প্রায় সব লুকিয়ে প্রায় বললে ভুল হবে 95 শতাংশ অনলাইনে কেনাকাটা করে। যাবতীয়
জিনিস কেনাকাটা করে অনলাইনের মাধ্যমে। তাই ই-কমার্সের বৃদ্ধি দিন দিন কমছে না
দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।এ ই বৃদ্ধি আগামী বছরগুলিতে অব্যাহত থাকতে পারে।
নিচে আরও কিছু ই-কমার্স এর প্রকারভেদ দেয়া হলো:
খুচরা ই-কমার্স
এটি হল সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ই-কমার্স, এবং এতে অনলাইনে পণ্য ও পরিষেবা
ক্রয়-বিক্রয় জড়িত। খুচরা ই-কমার্স ব্যবসাগুলি হয় ইট-এন্ড-মর্টার ব্যবসা হতে
পারে যেগুলির একটি অনলাইন উপস্থিতি রয়েছে, অথবা সেগুলি সম্পূর্ণরূপে অনলাইন
ব্যবসা হতে পারে৷ Amazon হল বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন খুচরা বিক্রেতা, কিন্তু সব
আকারের অন্যান্য অনেক খুচরা ই-কমার্স ব্যবসা রয়েছে।
B2B ই-কমার্স
B2B ই-কমার্স, বা ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা ই-কমার্স, যখন ব্যবসাগুলি অনলাইনে
অন্যান্য ব্যবসার কাছে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে। এই ধরনের ই-কমার্স প্রায়ই
অফিস সরবরাহ, কাঁচামাল এবং অন্যান্য ব্যবসা-সম্পর্কিত পণ্যগুলির জন্য ব্যবহৃত
হয়। Alibaba বিশ্বের বৃহত্তম B2B ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।
মার্কেটপ্লেস ই-কমার্স
মার্কেটপ্লেস ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলি ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের পণ্য এবং
পরিষেবাগুলির সাথে দেখা এবং ব্যবসা করার জন্য একটি জায়গা প্রদান করে।
প্ল্যাটফর্মটি লেনদেন সহজ করার জন্য একটি ফি নেয় এবং তারা লজিস্টিক এবং
পেমেন্ট প্রক্রিয়াকরণের মতো অন্যান্য পরিষেবাও অফার করতে পারে। eBay এবং Etsy
হল দুটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।
সোশ্যাল মিডিয়া ই-কমার্স
সোশ্যাল মিডিয়া ই-কমার্স হল একটি নতুন ধরনের ই-কমার্স যা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম
এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য এবং
পরিষেবা বিক্রির সাথে জড়িত। এই ধরনের ই-কমার্স প্রায়ই ছোট ব্যবসা এবং
স্বতন্ত্র উদ্যোক্তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়।
মোবাইল ই-কমার্স
মোবাইল ই-কমার্স হল সহজভাবে ই-কমার্স যা স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের মতো মোবাইল
ডিভাইসের মাধ্যমে করা হয়। এই ধরনের ই-কমার্স সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দ্রুত
বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ আরও বেশি সংখ্যক মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করতে তাদের মোবাইল
ডিভাইসগুলি ব্যবহার করে৷
ভয়েস-ভিত্তিক ই-কমার্স
ভয়েস-ভিত্তিক ই-কমার্স হল একটি নতুন ধরনের ই-কমার্স যা অ্যামাজন অ্যালেক্সা
এবং গুগল হোমের মতো ভয়েস সহকারী প্রযুক্তি দ্বারা সক্ষম করা হচ্ছে। এই ধরনের
ই-কমার্স ব্যবহারকারীদের ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে পণ্য কেনাকাটা ও কেনার
অনুমতি দেয়।
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা
ই-কমার্সের সুবিধা
ই-কমার্স হলো ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পূর্ণক্রয় বিক্রয় করা। এটি ব্যবসায়ীদের
কে লেনদেন ের সুবিধা করে দেয়। এই ব্যবসায়িক লেনদেন হয় ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা
ব্যবসা-থেকে-ক্রেতা, ক্রেতা-থেকে-ক্রেতা বা ক্রেতা-থেকে-ব্যবসা। ই-কমার্স এবং
ই-বিজনেস শব্দগুলি পরস্পর বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন:
সরকার অনুমোদিত অনলাইন সাইট সম্পর্কে জেনে নিন
আমি বলব এটা সবচেয়ে চারটি বিষয়ের দিক দিয়ে ভালো। হ্যাঁ অন্য আরো ভালো
আছে কিন্তু আমি বলব সবচেয়ে চারটি দিকে আমার ভালো লাগে। সেগুলো হল:
- ই-কমার্স দিনে 24 ঘন্টা, সপ্তাহে 7 দিন পাবেন
- এটি দ্রুত এবং সুবিধাজনক
- এটি সাশ্রয়ী
- এটি পরিবেশ বান্ধব
ই-কমার্স দিন-রাত নাই ভাই্। সেটা ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিনে খোলা পাবেন।
সেখান থেকে আপনি যে কোন ইচ্ছা পণ্য কিনতে এবং বেচতে পারবেন। এটাই হল ই-কমার্সের
সবচেয়ে বড় সুবিধা। আবার এটাকে আপনি খুব দ্রুত পেয়ে যাবেন। এর সুবিধা হল
আপনি এটাকে খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে বসে থেকে অর্ডার করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: খালি পেটে শসা খাওয়ার 30 টি উপকারিতা
যদি আপনি বাজারে কোন জিনিস কিনতে যান তাহলে সেটার পিছনে অনেক খরচ হবে। কিন্তু
আপনি যদি ঘরে বসে থেকে কিনেন তাহলে এটা সাশ্রয়ী হয়ে যাবে। এবং এটা পরিবেশ দিক
দিয়েও অনেকটা ভালো। যারা ই-কমার্স এর পূর্ণ ডেলিভার করে তারা খুব যত্ন সহকারে
এটাকে ডেলিভার করে। তাই আপনার পণ্যকে নিয়ে আপনি টেনশন নিবেন না।
ই-কমার্সের অসুবিধা
আবার এটাও ভেবে না যেন ই-কমার্স এর কোন অসুবিধা নাই। একটা কথা মনে
রাখবেন যে জিনিসের সুবিধা আছে সে জিনিসের অসুবিধা আছে। কমার্সের সবচেয়ে বড়
অসুবিধা হলো হ্যাকার। হ্যাকাররা আপনার যেকোনো সময়ে ক্রেডিট কার্ড হ্যাক করে
নিতে পারে। আপনার বাড়ির ঠিকানা আপনার ফোন নাম্বার এগুলো হ্যাক করে নিতে পারে।
তাই অবশ্যই কোন ওয়েবসাইট থেকে জিনিস কেনার আগে সেটার সম্পর্কে আগে জেনে নেবেন।
তাছাড়া হ্যাকাররা আপনার যেকোন কিছুর এক্সেস নিয়ে নিবে। যেটা আপনার জন্য
বিপদজনক হতে পারে। ই-কমার্সের অন্যান্য অসুবিধার মধ্যে রয়েছে:
- অনলাইন গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাস তৈরি করা কঠিন হতে পারে
- ডেলিভারি এবং রিটার্ন নিয়ে সমস্যা হতে পারে
- বড় অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের সাথে প্রতিযোগিতা করা কঠিন হতে পারে
ই কমার্স এর গুরুত্ব.
ই-কমার্স আমাদের জীবনের একটা অংশ হয়ে উঠেছে বলা চলে। এটা খুব দ্রুত পাওয়া
যায় এবং এর সুবিধা অনেক এর জন্য এর পরিচিতি অনেক। এবং ই-কমার্স আমাদের সময়
অনেক বাঁচিয়ে দেয়। আপনি এখানে যা করছেন তাই পেয়ে যাবেন। এবং যা ব্যাচবেন তার
ক্রেতাও এখানে পেয়ে যাবেন। এবং এটা খুব অল্প সময়ে এবং কম দামে পেয়ে
যাবেন।
নিচে আরও কিছু ই কমার্সের সুবিধা দেওয়া হলো:
- বিস্তারিত দৃষ্টিকোণ: ই-কমার্সের মাধ্যমে প্রতি ব্যবসা একটি বিশেষভাবে বিস্তারিত দৃষ্টিকোণ অর্জন করতে পারে। ই কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসায়ের তার পুণ্য গুলো সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
- ব্যবসার কার্যকলাপে সহজতা: ই-কমার্স ব্যবসা প্রক্রিয়াতে ব্যবসায়িক কার্যকলাপ অত্যন্ত সহজ হয়ে থাকে। পণ্য আপলোড, অর্ডার প্রক্রিয়া, পেমেন্ট, গ্রাহক সেবা - এই সবটি অনলাইনে সহজে পরিচালনা করা যায়। যা ব্যবসা চালনা করতে অনেক সময় এবং শ্রম সাশ্রয়ী হয়ে থাকে।
- গ্রাহকের সাথে পর্যাপ্ত যোগাযোগ: ই-কমার্স সাইটগুলি গ্রাহকের সাথে প্রতি সময় যোগাযোগ করতে পারে। এটি গ্রাহকের জন্য প্রস্তুতি এবং প্রশ্ন করার জন্য সহজ করে তোলে।
- বিশ্বব্যাপী বিপণি সুবিধা: ই-কমার্স একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যা বিশ্বব্যাপী বিপণি সুবিধা দেয়। প্রতিটি ব্যবসা বিপণি পৌঁছাতে পারে। বিপনি বলতে বোঝায় যে প্রতিটি বিশ্বে বা পৃথিবীতে যত দেশ আছে সবার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম। এবং তাদের পণ্য বা সেবা গুলি বিশ্বব্যাপী পারদর্শীতা দিতে পারে।
- কাস্টমার অভিজ্ঞতা: ই-কমার্স সকল সময় ব্যবসায়িক পণ্য এবং সেবার অভিজ্ঞতা বাড়াতে সাহায্য করে। এবং কাস্টমারদের জন্য উপযুক্ত একটি সাইট প্রদান করতে সাহায্য করে।
- বিকল্প পেমেন্ট অপশন: ই-কমার্সে গ্রাহকদের বিভিন্ন পেমেন্ট প্রদান করা হয়। যার মধ্যে অনলাইন পেমেন্ট বিকল্প পেমেন্ট সার্ভিস বিকল্প ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য অপশনগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
আশা করি বুঝতে পারছেন এই কমার্সের কত গুরুত্ব আমাদের জন্য। বর্তমান পৃথিবীতে
এসে ই কমার্সের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এবং দিন দিন এই গুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে।
তাই ভবিষ্যতে ই-কমার্সের মূল্য অনেক। ভবিষ্যতের মানুষ সবাই ই-কমার্স এর উপর
নির্ভরশীল হতে পারে। এখন যেমন দেখছেন রাস্তাঘাটে দোকান তখন দেখবেন সবকিছু
ই-কমার্স এর মধ্যে হয়ে গেছে।
লেখকের শেষ কিছু কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি আমার লেখা আর্টিকেলটি আপনি ভালোভাবে পড়ছেন। এবং বুঝতে
পারছেন ই-কমার্স সম্বন্ধে যাবতীয় কিছু। আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে
ভালো লেগে থাকে তাহলে সেটা আপনার বন্ধুদের শেয়ার করুন। তাতে করে সেও ই-কমার্স
সম্বন্ধে জানতে পারবে। তাই আর দেরি না করে এখনই সেটা নিচের শেয়ার অপশন
থেকে শেয়ার করুন।
ওয়ার্ল্ড ডেক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url