খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা - খেজুরের গুড়ের জন্য কোন জেলা ভালো
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা ও খেজুরের গুড়ের জন্য কোন জেলা ভালো এ নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও পাচ্ছেন না। আজকে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আলোচনা করব খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা এবং কেন খেজুরের গুড় খাবেন খেলে কি কি উপকার হবে।
এ সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা এবং আখের গুড়ের খাওয়ার উপকারিতা তাহলে চলুন শুরু করি।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক খেজুরের গুড় আমাদের শরীরের অনেক উপকারী। গ্রাম অঞ্চলে শীতকাল আসলে খেজুরের গুড় দিয়ে বিভিন্ন পিঠা পুলি বানানোর ধূম পড়ে যায়। আমরা খেজুরের গুড় দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করে থাকি। বিশেষ করে আমরা বাঙালিরা শীত আসলে যেন আমাদের এখানে খেজুরের গুড়ের অনেক কিছু তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশ একটি ষড়ঋতুর দেশ। এই ছয় ঋতুর মধ্যে শীতকালে অন্যরকম একটা অনুভূতি ফেল হয় শীতকাল মানে খাওয়ার ধুম।
খেজুর গুড়ের উপকারিতা
শীত মানে পিঠা পুলি খাওয়ার ধুম । আর আমরা শীতে অনেক মজা করে থাকি । শীতের সময় সকালবেলা খেজুরের রস কিংবা খেজুরের গুড় আমরা প্রায় সকলেই খেয়ে থাকি । শীতের মৌসম মানে খেজুরের রস খেজুরের গুড় আপনি কি জানেন খেজুরের গুড় আমাদের কত প্রকার করে। এবং খেজুরের রস আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ভালো ।
খেজুরের গুড় দিয়ে আমরা কতই না কিছু খাই। শীতকালের খেজুরের গুড় তাই নিজস্ব সাধ এবং তার সুবাস এর জন্য সবার কাছে পছন্দনীয়। শীতে আমরা যে পিঠা পুলি খাই তার বেশির ভাগেই তৈরি হয় খেজুরের গুড় থেকে খেতেও বেশ সুস্বাদু লাগে। এদিকে এই গুড়ের উপকারিতার কথা আমাদের বেশিরভাগ লোকজনদেরই অজানা আপনি হয়তো ভাবতে পারেন ।
কেন আমরা খেজুরের গুড় খাব? খেজুরের গুড় খেলে কি আমাদের কোন উপকার হবে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা যাক তাহলে চলুন আলোচনাটা করে ফেলি। খেজুরের গুড় মহিলাদের জন্য বেশ উপকারী । যেসব মহিলা এবং পুরুষ শারীরিক গঠন এক নয় মহিলাদের জন্য এমন কিছু ক্যালসিয়াম একটা পুষ্টির দরকার পড়ে।
যা সব ধরনের ফলমূল শাকসবজি এতে থাকে না এক্ষেত্রে খেজুরের গুড়ে সেসব ক্যালসিয়াম বা পোস্টে পাওয়া যায় এতে নানা ধরনের পোস্টটি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় মহিলাদের। অনেকে বলেন ভাই আমার তো হজমের সমস্যা যাই খাই না কেন হজম করতে পারে না তাহলে আর চিন্তা করছেন কেন হজমের সমস্যা দূর করে খেজুরের গুড়।
যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অল্প করে খেজুরের গুড় খাবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আবার গুড় খেলে যেসব ভংকর রোগ থেকে মুক্তি দেবে যেমন ধরেন কোষ্ঠকাঠিন্য আমাশা বদহজম আরো বিভিন্ন রকম অসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। তাই নিয়মিত খেজুরের গুড় খান।
আমাদের শরীরে অন্যতম দামি একটা জিনিস হল লিভার যেটা আমাদের শরীরে জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ লিভার ভালো রাখার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। আর আমি যদি বলি লিভার ভালো করার ওষুধ আপনার সামনে আছে এবং আপনার খুব কাছে কি বিষয় হচ্ছে না।
খেজুরের গুড় খেলে আপনার লিভার ও ভালো থাকবে। এই খেজুরের গুড়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম এই দুই উপকারী উপাদান আমাদের শরীরের পিসিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে নিয়মিত খেজুরের গুড় খেলে তা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সাহায্য করে সেসঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রাখে আমাদের রক্তের উচ্চ চাপ।
শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? অবাক করা বিষয় হলেও সত্যি যে, খেজুর গুড় আপনার ত্বক ভালো রাখতে কাজ করে। আপনি যদি মসৃণ ত্বক চান তবে নিয়মিত খেজুর গুড় খাবেন। এতে চেহারায় সহজে বয়সের ছাপ পড়বে না। ব্রণ ও ফুসকুড়ি দূর করতেও এই গুড় কার্যকরী। ত্বক সুন্দর থাকুক তা কে না চায়! তাহলে এবার প্রতিদিনের খাবারে যোগ করুন খেজুর গুড়।
আখের গুড়ের উপকারিতা
আমরা সবাই আখের রস খাই এবং আমরা সেটা অনেক পছন্দ করি সে কি জানেন আখের রসের মত আখের গুড়েও অনেক উপকার আছে আখের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি ও ছোপরা থাকে। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আখের গুড় অত্যন্ত উপকারী। ডায়রিয়া রোগীকে আখের গুড়ের স্যালাইন খাওয়ালে সে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
আমরা সবাই আখের রস খাই এবং আমরা সেটা অনেক পছন্দ করি সে কি জানেন আখের রসের মত আখের গুড়েও অনেক উপকার আছে আখের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি ও ছোপরা থাকে। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আখের গুড় অত্যন্ত উপকারী। ডায়রিয়া রোগীকে আখের গুড়ের স্যালাইন খাওয়ালে সে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
খেজুরের গুড়ের জন্য কোন জেলা ভালো
বাংলাদেশে খেজুরের গুড় চাষের জন্য কোন জেলা ভালো তা নির্ধারণ করা কঠিন এবং সম্ভাবনামূলক অঞ্চলের উপর নির্ভর করে। খেজুরের গুড়ের চাষের উপযুক্ত মাধ্যম, সাহায্য, ও জলবায়ু বিশেষত গরম ও উষ্ণ জলবায়ু, প্রদান করে।
বাংলাদেশে খেজুরের গুড় চাষের উপযুক্ত অঞ্চল হতে পারে পশ্চিম বঙ্গ, খুলনা, সাতক্ষিরা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের কিছু জেলা। এই অঞ্চলগুলি প্রধানত উষ্ণ ও সামান্য বৃষ্টির জলবায়ুয়ে অভিজাত থাকে, যা খেজুরের গুড়ের চাষে উপযোগী হতে পারে। তবে, এই তথ্যটি সাধারিত নির্ভর করে এবং স্থানীয় শখের পরিস্থিতি, জলবায়ু এবং আগাছা বাগানের শর্তাদির উপর ভিত্তি করে না হতে পারে।
খেজুরের গুড়ে ডায়াবেটিস আছে কি
আমরা অনেকে ভাবি ডায়াবেটিস রোগীরা কি গুড় খেতে পারবে ? তাহলে চলুন জেনে নি ডায়াবেটিস রোগীরা কি গুড় খেতে পারবে ? শীতকালে আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা রুটি দিয়ে গুড় খেতে অত্যন্ত পছন্দ করেন। আবার আমাদের শীতকালের পিঠা তৈরিতে খেজুরের গুড়ের ব্যবহার করে থাকি।
অনেকে আবার ভয় করেন শীতকালের পিঠা কিংবা গুড় খেতে কারণ সে তো বলে ভাই আমার তো ডায়াবেটিস আছে তো কেমনে খাবো ? সেটা তো মিষ্টি জাতীয় একটা খাবার ।আমার তো ডায়াবেটিস বাড়বে ?
অনেক গবেষণায় জানা গেছে যে গুড় একটা নিরাপদ খাবার আখের রসে যেমনি ভিটামিন সব খনিজ থাকে তেমনি খেজুরের গুড়েও থাকে। সম্প্রতি ভারতের এক গবাষণায় জানা গিছে যেগ্ল্যামিও হেলথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার প্রীত পাল সিং জানিয়েছেন, ডায়াবেটিক রোগীরা তাদের খাদ্যতালিকায় গুড় রাখতে পারবেন কি না।
গুড়ের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। গুণের মধ্যে রয়েছে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, চাপ কমানো এবং হজমের উন্নতি করা। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ৬৫ থেকে ৮৫ শতাংশ সুক্রোজ থাকে।যে কারণে ডায়াবেটিক রোগীদের সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা উচিত। একজন ডায়াবেটিক রোগীর আদর্শ খাদ্যের মধ্যে কম গ্লাইসেমিকযুক্ত খাবার থাকা উচিত।
কিন্তু গুড়ে খুব বেশি পরিমাণে গ্লাইসেমিক থাকে। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি রোগ, হৃদরোগ এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে, যা গুরুতর স্বাস্থ্যের সমস্যা।ডায়াবেটিসের সঙ্গে ভালোভাবে বেঁচে থাকার সর্বোত্তম পন্থা হলো রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখা।
তাই খাদ্যতালিকায় খাবার অন্তর্ভুক্ত করার আগে ডায়াবেটিক রোগীদের গ্লাইসেমিক সূচক বিবেচনা করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া।
চিনি না গুড় কোনটা খাবো
এবার চলুন জেনেনি চিনি না গুড় কোনটা খাবেন ? আমরা অনেকে ভাবি চিনি খাবো না গুড় খাবো এটা নিয়ে অনেকেই সমস্যা আছেন। আপনি ও কি এই সমস্যাই আছেন । আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা তাদের খাবার তালিকায় গুড় রাখি । আপনি ও কি আপনার খাবারের তালিকায় গুড় রাখছেন না তো ।
যদি রেখে থাকেন তাহলে আজ থেকে বাদ দিন। নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর খাওয়ার জন্য অনেকেই চিনির পরিবর্তে গুড়কে বেছে নিয়েছেন। অনেকেই বলেন যে ক্যালোরি এড়াতে গুড়কে খাদ্যতালিকায় রাখা দরকার। এই বিষয়ে সেলেব নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা দিওয়েকর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যাতে তিনি গুড় ও চিনি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
করিনার ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিওয়েকর সব সময়েই দেশজ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। আর সেটি বলি সেলেবরা মেনে চলেন অক্ষরে অক্ষরে৷ রুজুতা এমন ডায়েট প্ল্যান দেন যা কখনই বিদেশী নয়, তাঁর মতে গুড় কখনই চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করা যায় না। গুড় কখনই চিনির বিকল্প হতে পারে না। চিনির বিপরীতে গুড়ের মধ্যে ক্যালোরির পাশাপাশি আয়রন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান রয়েছে।
যা আমাদের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। যেখানে চিনি শুধুমাত্র ক্যালোরি দেয় পুষ্টি নয়। গুড় প্রক্রিয়াহীন, তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর যেখানে চিনি প্রক্রিয়াজাত করা হয়।রুজুতা চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার সম্পর্কে ইনস্টাগ্রামে বলেছেন ।গুড় চিনির প্রতিস্থাপন নয়।
অনেকের মনে হতে পারে চিনির পরিবর্তে ঘরে তৈরি মিষ্টিতে গুড় দিলে উপাদেয় খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর হবে। এটি পুরোপুরি সত্য নয় ।আমাদের বাড়িতে গুড় এবং চিনির ব্যবহার ঋতুর উপর ভিত্তি করে হয়।ঋতুর উপর নির্ভর করে চিনি বা গুড় ব্যবহার করা হয়। আসলে যে খাবারটি খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে আপনি কী খাবেন? চিনি না গুড়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, আমরা শীতকালে গুড় এবং গ্রীষ্মে চিনি ব্যবহার করি। পুষ্টিবিদ আরও উল্লেখ করেছেন যে, গুড়ের পোলি, তিল চিক্কি, লাড্ডু, বাজরা রুটি- সহ শীতের মরসুমে তৈরি মিষ্টি খাবারগুলিতে ব্যবহার করা হয়।আবার গরমের সময় শরবত, চা বা কফি, শ্রীখন্ড, করঞ্জি, গুজিয়া ইত্যাদি তৈরিতে চিনি ব্যবহার করা হয়।
আখের গুড় চেনার উপায়
অনেকে ভাবেন খাটিঁ গুড় চিনবো কি ভাবে ? দেখুন আপনি যদি গুড় খেতে পছন্দ করেন তাহলে তার আগে আপনাকে খাটিঁ গুড় চিনতে হবে। তাহলে চলুন জেনেনি কিভাবে খাটিঁ গুড় চিনবেন।
কেনার সময় একটু গুড় ভেঙে নিয়ে চেখে দেখবেন। যদি একটু নোনতা লাগে তবে বুঝতে হবে এতে ভেজাল মেশানো রয়েছে। তা ছাড়া পুরোনো গুড়ও স্বাদে খানিকটা নোনতা হয়। গুড় যত পুরোনো তাতে নুনের মাত্রা তত বেশি।গুড় যদি একটু বেশি চকচক করে ঠিক স্ফটিকের মতো, তবে বুঝবেন গুড়টি যে খেজুর রস দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তার স্বাদ এতটা মিষ্টি ছিল না।
আর সেই কারণে ওই গুড় মিষ্টি করে তুলতে এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো হয়েছে।
গুড় কেনার সময় আপনি কি তা শুধু চোখে দেখেই কিনে নেন? তবে ভুলেও তেমনটি করবেন না। গুড়ের ধারটা দুই আঙুল দিয়ে চেপে দেখবেন। যদি নরম হয়, তবে বুঝবেন ওই গুড় ভীষণ ভালো। এই গুড়ে ভেজাল মেশানো নেই বললেই চলে। যদি গুড় একটু তেতো স্বাদের হয়, তবে বুঝতে হবে ওই গুড়ে বহুক্ষণ ধরে জ্বাল দেওয়া হয়েছে।
এ কারণেই একটু তিতকুটে স্বাদ নিয়েছে, যা ভালো হয়ে ওঠার নিরিখে ডাহা ফেল।গুড় কেনার সময় তার রং অবশ্যই দেখে নেবেন। শুদ্ধ গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়। রঙের হেরফের হলে বুঝতে হবে গুড়ে ভেজাল আছে। বিশেষ করে হলদে গুড় দেখলেই বুঝবেন তাতে রাসায়নিক মেশানো হয়েছে।
লেখকের মন্তব্য
আমি বলবো যে আপনি যদি নিয়মিত না পারলে ও অল্প করে হলেও আমাদের গুড় খাওয়া উচিত। গুড় আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে । আর আপনি যদি ডায়াবেটিকসের রোগী হোন তাহলে গুড় থেকে দুরে থাকুন।সর্বশেষে একটা কথা বলবো যে আমার আটিকেলটা যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সেটা আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
ওয়ার্ল্ড ডেক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url